একটি ডায়াবেটিক কি নেতিবাচক পরীক্ষার ফলাফলের সাথে গর্ভাবস্থার লক্ষণ এবং রক্তপাত অনুভব করতে পারে?

ব্লাইটেড ডিম্বাণু, যাকে সমার্থক "অ্যানেমব্রায়োনিক প্রেগন্যান্সি"ও বলা হয়, এটি এমন একটি পরিস্থিতি যেখানে একটি নিষিক্ত ডিম্বাণু জরায়ুতে রোপণ করা হয়, কিন্তু ভ্রূণের বিকাশ হয় না। একের পর এক দুটি ব্লাইটেড ডিম্বাণু নিয়ে আপনার উদ্বেগটা ভীতিজনক ছিল তা আমি বুঝতে পারছি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা, যিনি সম্ভাব্য কারণগুলি জানেন এবং সম্ভাব্য সমাধানগুলি নিয়ে আসেন যা আপনাকে ভবিষ্যতে একটি সুস্থ গর্ভধারণ করতে দেয়৷ আপনার আরও পরীক্ষা হতে পারে যেগুলি এমন কোনও অন্তর্নিহিত কারণ রয়েছে যা একাধিকবার ঘটছে কিনা তা নির্ধারণে সহায়তা করার জন্য করা হয়। 

একটি খামির সংক্রমণ আপনার উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে. চুলকানি এবং হলুদ স্রাব লক্ষণ। আর্দ্রতা, আঁটসাঁট পোশাক, অ্যান্টিবায়োটিক - এগুলো খামিরের সংক্রমণ হতে পারে। ওভার-দ্য-কাউন্টার অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম বা সাপোজিটরিগুলি উপশম দিতে পারে। কিন্তু যদি উপসর্গ অব্যাহত থাকে, তাহলে একজন গাইনোকোলজিস্ট দেখুন।

আপনি যদি স্বাভাবিক মাসিকের চেয়ে কম সময় পর্যবেক্ষণ করেন, তাহলে এর কারণ হতে পারে মানসিক চাপ, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা বা একটি নির্দিষ্ট ওষুধ। সমস্যাটি নির্ণয় করতে এবং সঠিক চিকিৎসা গ্রহণের জন্য মহিলাদের প্রজনন স্বাস্থ্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
 

প্রারম্ভিক গর্ভাবস্থার দাগ সবসময় সম্পর্কিত নয়, বিশেষ করে আপনার প্রত্যাশিত সময়ের কাছাকাছি। ক্রমবর্ধমান hCG মাত্রা সঙ্গে, দাগ ইমপ্লান্টেশন সংকেত হতে পারে. যাইহোক, ভারী রক্তপাতের জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন, বিশেষ করে যদি তীব্র ব্যথা হয়। হাইড্রেটেড থাকা এবং ভালোভাবে বিশ্রাম নেওয়া এই সূক্ষ্ম পর্যায়ে সাহায্য করে।

খামির সংক্রমণ বেশ বিরক্তিকর হতে পারে, কিন্তু কার্যকরভাবে তাদের পরিচালনা করার উপায় আছে। তারা প্রায়ই চুলকানি, একটি বাদামী-সাদা স্রাব যা কটেজ পনিরের মতো দেখায় এবং এলাকায় প্রদাহ সৃষ্টি করে। কখনও কখনও, ইউরিয়াপ্লাজমার মতো অন্যান্য সংক্রমণের চিকিত্সা করার পরেও, খামির সংক্রমণ অব্যাহত থাকতে পারে। যদি এটি ঘটে, তাহলে এটি পরিষ্কার করার জন্য আপনার ডাক্তারের দ্বারা নির্ধারিত একটি ভিন্ন অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধের প্রয়োজন হতে পারে।

আপনি যদি একাধিক হোম প্রেগন্যান্সি টেস্ট করে থাকেন এবং রক্ত ​​পরীক্ষায় নেতিবাচক ফলাফল দেখায় তাহলে গর্ভধারণের কোন সুযোগ নেই। গর্ভাবস্থার অনুরূপ লক্ষণগুলি অনুভব করার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। 

যেহেতু আপনি সহবাসের পরপরই একটি পিল খেয়েছেন, তারপরও গর্ভধারণের কিছু সম্ভাবনা থাকতে পারে। নিশ্চিতকরণের জন্য একটি বাড়িতে গর্ভাবস্থা পরীক্ষা বা একটি UPT নিন।

হালকা রক্তপাত এবং যোনি চুলকানি সম্ভবত পোস্ট-ডিএন্ডসি সংক্রমণের জন্য দায়ী করা যেতে পারে। আমি আপনাকে একটি গাইনোকোলজিকাল পরীক্ষা এবং চিকিত্সার জন্য যেতে সুপারিশ করব। 

আপনি যদি ইতিবাচক গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করে থাকেন এবং গর্ভাবস্থা চালিয়ে যাওয়া এড়াতে চান, গর্ভপাত সহ আপনার বিকল্পগুলি নিয়ে আলোচনা করার জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একজন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে পরামর্শ করুন। উপযুক্ত পদ্ধতির জন্য তাদের নির্দেশিকা অনুসরণ করুন, এবং গর্ভাবস্থা প্রতিরোধের জন্য গর্ভপাতের পরে ভবিষ্যতের জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করার কথা বিবেচনা করুন।

যদি আপনার গর্ভাবস্থার পরীক্ষার ফলাফল দুর্বল হয়ে থাকে এবং আল্ট্রাসাউন্ড জরায়ুতে গর্ভাবস্থা সনাক্ত না করে, তাহলে এটা সম্ভব যে গর্ভাবস্থা অগ্রগতি হয়নি বা খুব তাড়াতাড়ি ছিল। তাই হরমোনের ভারসাম্যহীনতা বা অন্যান্য কারণের কারণেও রক্তপাত হতে পারে। আশ্বস্ত হতে একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করুন

আপনার গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে যদি আপনি দুই মাস আগে অনিরাপদ যৌন মিলন করেন, যদিও আপনি গত মাসে আপনার মাসিক পেয়েছেন। গর্ভাবস্থার কিছু লক্ষণ হল বমি বমি ভাব, ক্লান্তি এবং স্তনের কোমলতা। মানসিক চাপ বা হরমোনের পরিবর্তনও পিরিয়ড বিলম্বের কারণ হতে পারে। নিশ্চিত হতে চাইলে, ঘরোয়া প্রেগন্যান্সি টেস্টই সমাধান।